মলমপত্র সরেজমিন:
জাতীয় পাঁঠা হাসনাত আবদুল্লাহর কনুইতে সাপে কেটেছে। তবে, আল্লাহর রহমতে সাপটির কোনো ক্ষতি হয়নি। তিনি ভালো আছেন।
অবশ্য, কামড় দেওয়ার পর জনাব সাপকে দু’দুইবার ব্রাশ করতে হয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এই প্রতিবেদক যখন ঘটনাস্থলে যায়, পাঁঠাটি তখন কাঁদছিলেন, আর জনাব সাপ যাচ্ছিলেন পুকুরপাড়ে, দাঁত ব্রাশ করতে।
দাঁত ব্রাশ করে এসে তিনি মলমপত্রকে বলেন, “ভুলে মুখ দিয়ে ফেলেছি… একটু ব্রাশ করে নিলাম।”
এ সময় জনাব সাপকে বারবার ছেঁপ ফেলতে দেখা যায়। ছেঁপ ফেলার ফাঁকে ফাঁকে তিনি বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেন।
“মনটা বড্ড উচাটনে ছিল। আর ওয়েদারটাও এমন… একটা ‘কি করি, কি করি’ ভাব, কিন্তু করার কিছু ছিল না। হঠাৎ দেখি পাশে গণ্ডারের নুনুর মতো কালো কী একটা পড়ে আছে। ভাবলাম, একটু দুষ্টুমি করি। দিলাম ঠোকর! তারপর…”
কথা শেষ না করে পরপর তিনবার এবং পরে আরও একবার ছেঁপ ফেলে জনাব সাপ বলেন, “ঠোকর দিয়ে বুঝলাম ওটা গণ্ডারের নুনু নয়, হাসনাত আবদুল্লাহর হাত।”
এসময় জনাব সাপের কাছে মলমপত্র জানতে চায়, এরকম একটা জঘন্য ভুলের পর সমাজে মুখ দেখাতে কোনো অসুবিধা হবে কি না?
জবাবে সাপ সাহেব বলেন, “একটু তো অসুবিধা হবেই। কিছুদিন কেউ দাম দেবে না, লেজ দেখিয়ে চলে যাবে। রিলেশনশিপটাও ভেঙে যেতে পারে… যাক। এখন এসব নিয়ে দুঃখ করে লাভ আছে? ভুল করেছি, এখন প্রায়শ্চিত্ত করবো।”
তারপর কিছুক্ষণ চুপ থাকেন। একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। এবং দুলতে দুলতে জঙ্গলের দিকে চলে যান।
অপরদিকে পাঁঠাটি তখনও কাঁদছিলেন, এবং সবাইকে ‘রাজুতে’ আসতে বলবেন কিনা— উলালা ফাতেমা সে কথা ভাবছিলেন।